ইয়াবা ব্যবসায়ীদের আত্মসমর্পণ

প্রকাশিত: ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯ ০২:৫৯:২১ || পরিবর্তিত: ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯ ০২:৫৯:২১

ইয়াবা ব্যবসায়ীদের আত্মসমর্পণ

অনেক জল্পনা-কল্পনার পর মাদক চোরাচালানের ‘স্বর্গরাজ্য’ হিসেবে পরিচিত কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় শতাধিক ইয়াবা ব্যবসায়ীর আত্মসমর্পণের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে প্রশাসন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মো. আসাদুজ্জামান খান কামালের উপস্থিতিতে আজ শনিবার সকাল ১০টায়  টেকনাফ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা আত্মসমর্পণ করবেন। এ নিয়ে বাংলাদেশ-মিয়ানমারের সীমান্ত উপজেলা টেকনাফসহ জেলার সাধারণ মানুষের মধ্যে কৌতূহলের সৃষ্টি হয়েছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাদকবিরোধী অভিযানে ‘ক্রসফায়ারে’ প্রায় প্রতিদিনই ইয়াবা ব্যবসায়ীদের নিহতের ঘটনার মধ্যে এই আত্মসমর্পণের প্রক্রিয়া শুরু হয়। এরপর থেকেই শতাধিক চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ী পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে হেফাজতে চলে যান।

আজ সেসব ইয়াবা ব্যবসায়ীর আত্মসমর্পণ সামনে রেখে সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে। এই আত্মসমর্পণের এর মধ্য দিয়ে টেকনাফবাসীর কলঙ্কমোচনের যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে তা কি ইয়াবা ব্যবসায়ী ও তাদের সহযোগীরা সত্যিকার অর্থেই কাজে লাগাবে; নাকি শুধু প্রাণ বাঁচানোর  জন্যই আপৎকালে এই সুযোগকে কৌশলে ব্যবহার করবে?

এই প্রশ্ন উঠার কারণ, আত্বমসমর্পণের জন্য অনেক চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ীর নাম শোনা গেলেও বাস্তবে দেখা যাচ্ছে তাদের সহযোগী, সাঙ্গপাঙ্গরা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরেই রয়ে গেছে। তাদের আত্মসমর্পণের প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।

এদিকে আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানের আয়োজন নিয়ে দম ফেলার ফুরসত নেই যেন পুলিশ প্রশাসনে। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দফায় দফায় অনুষ্ঠানস্থল পরিদর্শন করছেন। কোথাও কোনো ত্রুটি যেন না থাকে সে চেষ্টা করছেন। তা ছাড়া নিরাপত্তার বিষয়টি তো রয়েছেই। টেকনাফ পাইলট হাই স্কুল মাঠে মঞ্চ ও প্যান্ডেল নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে, এলাকায় জোরেসোরে চলছে মাইকিং। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীদের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে অনুষ্ঠান সফল করতে সহযোগিতা কামনা করেছেন টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ।

প্রজন্মনিউজ২৪/দেলাওয়ার হোসাইন।

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ